আজ বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
«» শিবগঞ্জের কালীগঞ্জ সীমান্তে উত্তেজনা, বিএসএফ এর দুঃখ প্রকাশ «» শিবগঞ্জে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের উদ্বোধন করলেন ইউএনও «» দুর্লভপুর ইউনিয়নের টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ «» দুর্লভপুর ইউনিয়নের টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ «» শিবগঞ্জে শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত «» শান্তি নিবিড় পাঠাগার পরিদর্শন করলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস «» জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি সম্মেলন উপলক্ষে শিবগঞ্জে কেন্দ্রীয় দাওয়াতি মিশন অনুষ্ঠিত «» শিবগঞ্জে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান «» চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘প্রতিদিনের চাঁপাই’ অনলাইন পত্রিকার শুভ উদ্বোধন «» শিবগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সাদিকুল ইসলামের ১০ হাজার কম্বল বিতরণ

নতুন ধান ঘরে তুলতে নবান্ন উৎসবে মেতে উঠেছে কৃষক কৃষাণী

এমএ করিম : প্রকৃতির নিয়মে শরতের সাদা মেঘের ভেলা,মাটিতে প্রাণ সঞ্চার করে হিমেল হাওয়ার টানে শরৎমাড়িয়ে হেমন্ত এসেছে।

তবে অন্যান্য বারের মত এবারও সঙ্গে এসেছে হিম হিম মৃদু কুয়াশা ঘাসের কর্দম ময় মেঠো পথে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে শিউলি ফুলের মোহনীয় সুবাতাস।

হেমন্তর প্রথমভাগেই শরতের অনেকটাই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আর তাই প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে এই দুই শরতের বেশ অনেকটা মিল লক্ষ্য করা যায়।

বাংলাদেশ সাধারণত ছয় ঋতুর দেশ কার্তিক ও অগ্রহনের এই দুই মাসের মধ্য দিয়ে কুয়াশাছন্ন চাদর মোড়ানো শীতের মোহমহীতা,আর এই কনকনে ঠান্ডা চাদর মোড়ানো শীতের দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা বেশ অনেকটা কম,তবে শীতের রূপটি নিয়ে হেমন্তের সোনালী সকালের রোদ্রাস্কীত শরতের দুপুরের চারপাশে হেমন্ত হুল হুল করা আবেশ।

এদিকে,নবান্নের উৎসবে মেতে উঠেছে গ্রাম বাংলার কৃষক কৃষাণীরা,এবং কুয়াশা মাখানো শীতের শিশির রাত ও শিশিরস্নাত সকাল এবং কাঁচাসোনা সীমান্তের রৌদ্র মাখা স্নিগ্ধসৌম্য শীতের দুপুর, যা দেখে মনে সুখ এনে দেয় হুল হুল করা অাবেশ।

শুধু তাই নয় পাক-পাখালির কলকাকলিতে ভরা ঝুম কুয়াশায় ভিজানো শীতের সন্ধ্যা আর মেঘমুক্ত আকাশের জোসনা ডুবানো আলোকিত রাত, যা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য হেমন্ত যেন আরো রহস্যময় করে তুলে।যা প্রতিবছরই প্রকৃতিতে এনে দেই এমন শীতের ভিন্ন মাত্রা।

এদিকে হেমন্তর মনতাকে ছাপিয়ে গ্রাম বাংলার কৃষক কৃষাণী কষ্টভুলে সুখময় মনের আনন্দে সবুজ মাঠে ধান ক্ষেতের নতুন সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে পাড়া গ্রামের কৃষক কৃষাণীরা।

সবুজ মাঠের ধান ক্ষেতে সোনালী হলুদ বর্ণের রংঙ ধারণ করায় মনের ভিতর অনাবিল সুখের বাসর বেঁধেছে গ্রাম বাংলার কৃষক কৃষাণীদের।এদিকে গ্রাম গঞ্জের মাঠে মাঠে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভেসে উঠেছে গ্রামের অাশপাশ।

এসময় কৃষক-কৃষাণীদের একরাশি মুখে হাসি ধারণ করে সোনালী মাঠে ধান কাটার মহোৎসব নবান্নে বিভোর।এবং নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্নার আয়োজিত এমন সব উৎসবে কৃষাণ-কৃষাণীর মাতোয়ারা।

কৃষকের ঘরে এসময় কার্তিক মাসের মজুদ ফসল ফুরিয়ে যাওয়ায় কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বুকভরা অাশা ও ভরসা জমে থাকা সব মুখের হাসি নিয়ে মাঠে চলে ধান ক্ষেতে ফসল উৎপাদন ও সংগ্রহে সঙ্গীত আয়োজন করতে।

এছাড়াও,নতুন ধান কাটার মহোৎসব ও গুনগুনিয়ে মনের টানে গ্রাম গঞ্জের সোনালী ধানক্ষেতের মাঠে মাঠে কৃষক-কৃষাণীদের অানাগুনায় আনন্দে উচ্ছাসে নতুন ধানের নবান্নের উৎসবে মুখরিত করে গ্রামবাংলার চারপাশ ।

আপনার মতামত দিন :
সংবাদটি শেয়ার করুন :